Available in: English   Bengali   Go to media page

গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ আল ফায়েজ আদ দাগেস্তানি (ق) -র এক অলৌকিক ঘটনা

মাওলানা শেখ মুহাম্মাদ হিশাম কাব্বানি

10 ডিসেম্বর 2009 লন্ডন, যুক্তরাজ্য

পেকহাম মসজিদ

কাঃ ق সংক্ষেপ: কাদ্দাস আল্লাহু সিররুহ: অর্থাৎ: আল্লাহ্‌ তাঁররুহানীয়তের পবিত্র রহস্যের সুরক্ষা করুন

আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আল-আমীন, ওয়া আস সালাতু ওয়া আস সালামু আলা আশরাফিল মুরসালিন সাইয়িদিনা ওয়া নাবিয়িনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি আজমাইন।

১৯৪০-এর দশকে, প্রায় ৮০ বছর আগের কথা, গ্র্যান্ডশেখ দামাস্কাসে তাঁর বাসায় একটা সুহবাতে বসে ছিলেন, সামনে ছিলো অনেক উলামা। মাওলানা শেখ নাজিমের মুরিদরা তখন প্রায় সবাই তরুণ যুবক। গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ (ق) -র মুরিদরা তখন ছিলো প্রায় সবাই ৫০ বছরের বেশী বয়স্ক আর তারা প্রায় সবাই ছিলো স্কলার। তাঁর সুহবাতে যারা আসতো তারা এইরকমই ছিলো। প্রত্যেকেই অনেক শিক্ষিত, বেশির ভাগই উলামা। একটা প্রফেসর যেভাবে তাঁর শ্রেনীকক্ষে বসে, গ্র্যান্ডশেখ সেভাবে তাঁর ঘরটাতে বসতেন, সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ বসতে পারতো। মাওলানা শেখ নাজিম তাঁর এই অলৌকিক ঘটনার বিবরন দিচ্ছেন।

ইংল্যান্ড থেকে একবার এক মহিলা এসেছিলেন গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ্‌ (ق)-র সাথে দেখা করতে। গ্র্যান্ডশেখ থাকতেন জাবাল কাসিউন পাহাড়ের উপরে, যেখান থেকে পুরা দামাস্কাস শহর দেখা যায়। সেই পাহাড় থেকে নামলেই সাইয়িদিনা ইবন আল আরাবীর বিখ্যাত মসজিদ। সেখানে এক নাপিত গ্র্যান্ডশেখের চুল-দাড়ি কেটে দিতো। এই মহিলা গ্র্যান্ডশেখের খোঁজে সেই নাপিতের কাছে আসে। নাপিত তাকে গ্র্যান্ডশেখের বাসা চিনিয়ে নিয়ে আসে। খেয়াল করে দেখো, মহিলা কিন্তু আসছেন ইংল্যান্ড থেকে। তিনি অমুসলিম। সেই আমলে, তাঁর গায়ে অমুসলিমদের কাপড় পড়া, পর্দা নাই। তিনি এক বর্ণ আরবীও বলতে পারেন না, তুরকি ভাষাও না, দাগেস্তানি ভাষাও না। আর ওই সব উলামা সেখানে বসে বসে তাকে দেখছে। আর সেই মহিলা তো কাউকেই চেনেন না। তিনি ভাবছেন যে, এদের মধ্যে শেখ আবদ'আল্লাহ্‌ (ق) কোন জন?

নাপিত সেই মহিলাকে গ্র্যান্ডশেখের কাছে নিয়ে আসলো। সাথে সাথে মহিলা গ্র্যান্ডশেখের হাতে চুমা দিলেন। আর উলামারা তো হায় হায় করে উঠলো। এই মহিলা ইংরেজ। তিনি তো আর আরব কালচার জানেন না যে ইসলামিক কালচারে মহিলারা এভাবে একজন শেখের হাত ধরে চুমা দিতে পারে না। আর তিনি তো সোজা গিয়েই গ্র্যান্ডশেখের হাতে চুমা দিয়ে দিলেন।

তো এখন আর কে-ই বা কি করবে? গ্র্যান্ডশেখই বা কি করবেন? তিনি মাওলানা শেখ নাজিম (ق) কে ডেকে পাঠালেন। মহিলা যেহেতু ইংরেজ, আর মাওলানা শেখ নাজিম উচ্চ শিক্ষিত, ইংরেজী ভাষায় ভীষণই পটু, তিনি তার কথা অনুবাদ করে গ্র্যান্ডশেখকে বলবেন আর গ্র্যান্ডশেখের আরবী কথা অনুবাদ করে তাকে ইংরেজী বলবেন। মাওলানা শেখ নাজিমের তখন অনেক বয়স কম। গ্র্যান্ডশেখের একটা অনেক লম্বা লাঠি ছিলো, মূসা (আ) এর মত। তিনি সেই লম্বা লাঠি নিয়ে এসে সেখানে বসলেন, ইংরেজ মহিলার কথা শোনার জন্য।

তোমরা হয়তো জানো না, মাওলানা শেখ নাজিম যখন অনেক তরুন ছিলেন, তিনি দেখতে এতো হ্যান্ডসাম ছিলেন, হলিউড থেকে সাইপ্রাসে লোক এসে তাকে সাইয়িদিনা মূসা (আ) এর উপরে নায়ক হবার জন্য অফার দিয়েছিলো। তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করে দেন। গ্র্যান্ডশেখ যখন মাওলানা শেখ নাজিমকে তার খলিফা উপাধি দেন, তখন কিছু মুরিদ যারা তাঁকে পছন্দ করতেন না, তাঁর নামে আজে বাজে কথা বলতেন, যে তিনি কিছু জানেন না। আল্লাহ্‌ তাদের মাফ করুন।

তো মাওলানা শেখ নাজিম (ق) এসে বসলেন আর মহিলা তাঁর কথা বলা শুরু করলেন আর সেখানে উপস্থিত সবাই কান খাড়া করে বসে আছে, তিনি কি বলছেন সেটা শোনার জন্য।

মহিলা বললেন, "ও শেখ, আপনি আমাকে সেই জ্ঞান শিক্ষা দেন, যেই জ্ঞান আপনি বোম্বের মহিলাকে শিখিয়েছিলেন"।

সবাই কিন্তু তাকিয়ে আছে আর হা করে দেখছে কি হচ্ছে। সবাই বলাবলি করা শুরু করলো যে, এই মহিলা কে? তিনি এইগুলো কি বলছেন? কে সেই ভারতীয় মহিলা? আর তারা তো এই সবের কিছুই জানে না!

মহিলা বলতে থাকলেন,

'আজ থেকে ৩ কি ৪ বছর আগে, আমার কাছে একটা চিঠি আসলো, সেখানে কোন রিটার্ন ঠিকানা লেখা নাই, কিন্তু একজন ভারতীয় মহিলা সেই চিঠিটা আমার নাম লিখে আমাকেই লিখেছিলেন। চিঠির বিষয়বস্তু ছিলো তাসাউয়ুফ, রুহানীয়ত। আমি খুবই অবাক হলাম যে তিনি কিভাবে আমার ঠিকানা পেলেন। আমি তাঁকে চিনি না। আর তিনি এইসব বিষয় নিয়ে আমাকে চিঠি লিখেছেন। কিভাবে চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন করা যায়, রুহানীয়তের উঁচু স্তরে পৌছানো যায়, সেসব বিষয়ে সেই চিঠিতে লেখা ছিলো খুব সুন্দর করে।'

'এর এক মাস পরে আরেকটা চিঠি আসলো। তার পরের মাসে আরেকটা চিঠি। এভাবে পুরা বছর চলে গেলো, প্রতিমাসে আমার কাছে একটা করে চিঠি আসতেই থাকলো। সব চিঠির বিষয়ই ইলমে তাসাউয়ুফের অনেক উচ্চ স্তরের শিক্ষা। আমি সেই চিঠিগুলা পড়ে অনেক কিছু শিখলাম। আর এই যে, সেই বারোটা চিঠি যা আমি মাসে একটা করে বারো মাসে বারোটা চিঠি পেয়েছিলাম। (মহিলা সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন)। এর পরের বছরও তিনি আমাকে মাসে একটা করে চিঠি পাঠাতে থাকলেন। তিনি আমাকে লিখলেন যে তার একজন শেখ আছে, তার মুর্শিদ, যে তার কাছে প্রতি সপ্তাহে আসেন আর তাকে ইলমে তাসাউয়ুফের শিক্ষা দেন। তিনি সুহবাত দেন আর সেই মহিলা তার কথাগুলা লিখে রাখেন। দ্বিতীয় বছরের বারোটা চিঠিও আমি সাথে করে নিয়ে এসেছি। এই যে সেই চিঠিগুলা। (বলে তিনি আরো বারোটা চিঠি দেখালেন)। সেই মহিলা ওই শেখের নাম আমাকে জানান নাই। তৃতীয় বছরে তিনি আমাকে জানালেন যে তার শেখের নাম শেখ আবদ'আল্লাহ্‌ আদ-দাগেস্তানি (ق) যে কিনা প্রতি সপ্তাহে বোম্বেতে তার বাড়িতে তার কাছে আসেন। '

মনে রেখেন, এই গল্প তখন কারা শুনছেন? সেখানে উপস্থিত ওই সমস্ত উলামা। এই পর্যন্ত শোনার পর তাদের পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব হলো না। 'কিভাবে এটা সম্ভব? গত তিন বছর ধরে আমরা প্রতিদিন প্রতি সপ্তাহ দামাস্কাসে গ্র্যান্ডশেখের এখানে আসছি, তাঁর সাথে এসে বসছি, তাঁর সুহবাত শুনছি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, তিনি একবারের জন্যেও শহরের বাইরে কোথাও যান নাই। গত তিন বছরে মাত্র দুইবার তিনি দামাস্কাসের বাইরে গিয়েছিলেন তাও সেটা মক্কা আর মদিনায়। এছাড়া তিনি সিরিয়ার বাইরে অন্য কোত্থাও যান নাই। আমরা জানি, আমরা দেখেছি। হয়তো একবার কি দুইবার তিনি আম্মানে (জর্ডান) গিয়েছিলেন। কিন্তু বোম্বে, ভারত, সেই কত দূর, তাও প্রতি সপ্তাহ, গত তিন বছর ধরে? অসম্ভব। কোন ভাবেই সম্ভব নয়।' আর এই ঘটনা আমাকে কে বলেছিলেন? গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ দাগেস্তানি (কা) নিজেই বলেছিলেন। আমার নোট বইতে লেখাও আছে, তাও ৪০ কি ৫০ বছর আগের কথা।

তো সেই মহিলা তাঁর কথা বলতে থাকলেন।

'আমি খুবই উদগ্রীব হয়ে পড়ছিলাম জানার জন্য যে কে এই শেখ আর কোথায় তিনি থাকেন, কেননা তাঁর সাথে আমি দেখা করতে চেয়েছিলাম। তখন পরের চিঠিটাতে ওই মহিলার ঠিকানা লেখা ছিলো। সেই চিঠিটা পেয়ে, ঠিকানা পেয়ে আমার যে কি খুশি লাগলো, বলারই না। আমি টিকেট কেটে বিমানে করে বোম্বেতে চলে গেলাম। জায়গাটা ছিলো বোম্বে শহরের বাইরে, একেবারে জঙ্গলের ভেতরে। আমি দরজায় কড়া নাড়লাম। কেউ দরজা খুললো না। দূর থেকে কেউ একজন আমাকে বললো যে সেই মহিলা মারা গেছেন, তবে, তাঁর একটা মেয়ে আছে, আমি যাতে তাঁর মেয়ের কাছে গিয়ে তাঁর কথা জিজ্ঞেস করি। ও আমার শেখ, আমি তখন অনেক খুঁজে খুঁজে সেই মেয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর মা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম। সে আমাকে বললো যে, "হ্যা, প্রতি সপ্তাহে একদিন আমার মায়ের কাছে তাঁর একজন শেখ আসতেন আর তাঁকে তাসাউয়ুফ সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন। তারা সাদা দাড়ি ছিলো, তিনি অনেক বৃদ্ধ, বয়স হয়তো একশ' বছরের কাছাকাছি হবে।" আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে সেই শেখ কোথায় থাকেন? সে আমাকে বললো, "আমি শুধু এতটুকুই আপনাকে বলতে পারি যে, তিনি দামাস্কাসে শেখ মহিউদ্দিন ইবন আরাবি-র মসজিদ আর মাকামের কাছাকাছি কোথাও থাকেন"।

এই কথা শুনে ইংরেজ মহিলা সাথে সাথেই সেখানেই মুসলমান হয়ে গেলেন। তিনি বিমানে করে লন্ডনে ফিরে গেলেন। তারপর লন্ডন থেকে তিনি দামাস্কাসে এসেছেন। শেখ মহিউদ্দিন ইবন আল আরাবীর মসজিদের কাছে এসে শেখ আবদ'আল্লাহ কোথায় থাকেন সেটা জিজ্ঞেস করছিলেন। প্রথম যেই লোককে তিনি জিজ্ঞেস করলেন সেই ছিলেন গ্র্যান্ডশেখের নাপিত। তিনিই পথ চিনিয়ে সেই ইংরেজ মহিলাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন জাবাল কাসিউন পাহাড়ের উপরে।

এখন মহিলা আবারো বললেন, "ও আমার শেখ, আমি আপনার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনি আমাকে শিক্ষা দেন, যা আপনি সেই মহিলাকে শিখিয়েছিলেন"।

ওইখানে উপস্থিত সকলেই চূড়ান্ত আশ্চর্য, তার কথা শুনে। আমি তোমাদেরকে বলছি না, যে গ্র্যান্ডশেখ তাকে কি শিখিয়েছিলেন। এটা বাতেনী জ্ঞান, যা কিনা গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ (কা)-র রুহানীয়তের সাথে জড়িত। কিন্তু এই গল্প আজকে হঠাৎ করে আমি তোমাদেরকে কেন বলছি? যাতে তোমরা বুঝতে পারো একটা বিষয়। এই দুনিয়াতে এরকম হাতে গোনা কিছু শেখ আছেন যাদের লক্ষ লক্ষ মুরিদ আছে। কেউ জানে না তারা কে কোথায়। তোমরা সেই শেখের আশেপাশে তাকালে হাতে গোনা কয়েক জন পুরুষ, কয়েক জন মহিলা দেখতে পারবে। তারা তোমাদেরকে বলবে যে, হ্যা, আমরাই তো উনার মুরিদ।

না। এরকম অনেক মুরিদ আছে যারা কিনা ওই শেখকে স্বপ্নে দেখেছে, স্বপ্নেই বায়াত হয়ে গেছে। শেখ বলে, 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' আর সাথে সাথে তিনি সেই মুরিদের কাছে পৌছে যান। ঠিক যেমনটা হয়েছিলো সেই ইংরেজ মহিলার ক্ষেত্রে। তিনি কাউকেই চিনতেন না। মাওলানা শেখ নাজিম(কা)-কেও চিনতেন না, গ্র্যান্ডশেখ আবদ'আল্লাহ (ق) -কেও চিনতেন না। তিনি তাঁর শেখের ঠিকানা পাওয়ার জন্য লন্ডন থেকে বোম্বে চলে গিয়েছিলেন আর তারপর আবার ফেরৎ লন্ডনে, আর সেখান থেকে আবার এতোটা পথ দূরে দামাস্কাসে তিনি চলে এসেছেন শুধু গ্র্যান্ডশেখের কাছ থেকে তাসাউয়ুফ শিক্ষা করার জন্য। গ্র্যান্ডশেখ (ق) তাঁকে তিনটা জিনিস করতে দিয়েছিলেন। তারপর তিনি লন্ডনে তাঁর বাড়িতে ফিরে যান আর তারপর থেকে সুফিবাদের জন্য তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করে দেন। তারপরে তিনি আরেকবার দামাস্কাসে গ্র্যান্ডশেখের কাছে আসেন। তিনি গ্র্যান্ডশেখকে চিঠি লিখতেন। এরপর তিনি অনেক বছর বাচেন নাই। তবে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর বাড়িটা ইলমে তাসাউয়ুফের খেদমতের জন্য দান করে যান। কে সেই মহিলা? আল্লাহ্‌ নিজেই ভালো জানেন। আমরা জানি না, কিন্তু আমরা গ্র্যান্ডশেখকে বিশ্বাস করি, তাই আমরা এই অতি আশ্চর্য অলৌকিক ঘটনায়ও বিশ্বাস করি।

কিভাবে গ্র্যান্ডশেখ প্রতি সপ্তাহে বোম্বের মহিলার কাছে তিন বছর ধরে যাচ্ছিলেন? তরিকার শিক্ষায় এটাকে বলা হয় হাকিকাতুত ত্বাই। সহজ ভাবে বলতে গেলে, স্পেস অথবা স্থানের ভেতর দিয়ে চলাফেরা করার বাস্তবতা, সেটাকেই বলে হাকিকাতুত ত্বাই। আল্লাহর আউলিয়ার জন্য তিন মাত্রা (থ্রি ডাইমেনশন), দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা, (x,y,z),এই তিন মাত্রা উধাও হয়ে যায়। সেখানে চতুর্থ মাত্রা এসে হাজির হয়, যেটা হলো সময় (time বা t)। সেই চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ করে তারা অনেক অল্প সময়ে অনেক বেশি দূরত্ব ভ্রমণ করতে পারেন। আমরা যেভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাই, তারা সেভাবে চলা ফেরা করেন না। রাসুল ﷺ যখন অনুমতি দেন অলৌকিক ঘটনা ঘটানোর জন্য, তারা তখন সেটা করতে বাধ্য হন। আর সেটা করতে তাদের কোন সমস্যাই হয় না। তবে, নবী মুহাম্মাদ ﷺ সবসময়ে অনুমতি দেন না। আউলিয়ারা অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পছন্দ করেন না। তারা অন্য দশ জনের মতোই স্বাভাবিক থাকতে চান, সবার সাথে সবার মত করেই থাকতে চান।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মাদ, ওয়া আলা আলিহি সাইয়িদিনা মুহাম্মাদ।

বিহুরমাতিল হাবীব, ওয়া বি হুরমাতি সুরাত আল-ফাতিহা।

কপিরাইট 2024 Sufilive.com

https://sufilive.com/We-Need-Heavenly-Support-8274.html

UA-984942-2