২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ম্যানর হাউস, ইউকে।
ইয়া সায়্যিদি, ইয়া রসুলুল্লাহ, ইয়া হবিবুল্লাহ, আশুকরু-লাক, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়াল-আজহামাতু কিবরিয়া, কুলিল্লাহ, ওয়াল মুহাব্বাতু ওয়ালাক, ওয়া লি যালিক জি’তানা বি বিশারাতান কাবির, বিশারাতান আযিমা! হে আল্লাহর নবী! ধন্যবাদ আপনাকে এবং গর্ব এবং মহিমা এবং ভালবাসা আপনাকে! আপনি আমাদের কাছে এসেছিলেন কারণ সমস্ত গৌরব আল্লাহর, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং আপনার প্রতি, রহমত আল্লাহ ও আপনার! সেই কারণে আপনি আমাদের কাছে একটি ভাল খবর নিয়ে এসেছিলেন, আমাদের মুক্তি দিতে, এই নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিতে, আমরা যাকে ভালোবাসি তার দ্বারা নিপীড়ন ঘটেছিল। আপনি যখন কাউকে ভালোবাসেন এবং যত্ন করেন, তার কাছ থেকে মিষ্টি কথার বদলে রুঢ় আচরণ পেলে, কিছু মনে করবেন না। এবং আমরা বলে থাকি, আমি আছি, আমি “আমি” বলতে পছন্দ করি না, কারণ এটি ঘটেছে বলে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, ইয়া রসুলুল্লাহ (ﷺ), আমি আপনার যে স্বপ্নটি দেখেছি তার জন্য! আপনাকে আমি সেই স্বপ্নে দেখেছি। আমি দু’মাস আগে এক রাতে এতটা হতাশায় পড়েছিলাম এবং এতটা নিপীড়িত, হতাশাগ্রস্ত ও ভারাক্রান্ত বোধ করেছিলাম যে বিষয়টি আল্লাহ তা’আলা এবং তাঁর নবি (ﷺ) এর অর্পণ করলাম, যেহেতু আল্লাহ ভাল জানেন এবং রসুলুল্লাহ (ﷺ) ভাল জানেন।
সে রাতে আমি ফজরের নামায আদায় করার পরে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ওয়া র-’ইতু মা র-’ইতু ফি-ল্ মানা-ম্, আমি এমন একটি দর্শনের মতো দেখেছি যা সত্যই স্বপ্ন ছিল না, মা বাইনাল নওমি ওয়াল ইয়াক্বায্হাহ, যা ছিল ঘুম এবং জাগরণের মধ্যবর্তী, পুরো দুনিয়া মিলিয়ে গিয়েছিল এবং কেবল একটি বিশাল গম্বুজ ছিল যা পুরো দুনিয়াকে ঢেকে দেয়, এবং সেই গম্বুজটি আলোতে পূর্ণ ছিল।
আমি গর্বিত বা অহংকারী হয়ে এ কথা বলছি না; আস্তাগাফিরুল্লাহ, আমি এমন একজন নই যার এমনকি মানুষের জুতায় থাকার যোগ্যতা আছে! আমরা অহঙ্কারী নই যখন মাওলানা শেখ নাজিম (سرّه قدس) আমাদের চমৎকারভাবে গড়ে তুলেছিলেন, পলিশ করেছিলেন। নকশবান্দি সুফি তরিকার এর দাগেস্তানি শাখা থেকে দুজন শেখ এবং অন্য সুফি শাখা থেকে আমাদের বাবার বাড়িতে আসতেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমার বাবার সম্পদ ছিল এবং একটি বিশাল ঘর ছিল যেখানে এই মসজিদটি ( যেখানে বসে মাওলানা সোহবাহ দিচ্ছিলেন।) কেবল একটি ঘরের সমান হতে পারে (আয়তনে)। সকল উলামা, সকল আলেম, সমস্ত আউলিয়া আসতেন। সেই বাড়িতে, আমরা কেবল এক বা দুজন নন অনেক আউলিয়াউল্লাহর কোলে বড় হয়েছি; এবং কেবল গ্র্যান্ডশেখ-আবদুল্লাহ আল-ফায়েজ আদ্ দাগেস্তানি (سرّه قدس) এবং মাওলানা শেখ মুহাম্মদ নাজিম আদিল (سرّه قدس) নন, তারা ছিলেন আমাদের শেখ এবং আমরা তাদের জন্য গর্বিত; তবে বিভিন্ন তরিকার অনেক শেখও আসতেন, বেশিরভাগ নকশবান্দি, কাদিরি, শাজিলি এবং অন্যান্য তরিকা। আমাদের ঘরে থাকার জন্য প্রতিদিন দু’জন অতিথি সিরিয়া থেকে বা দুনিয়ার অন্য কোথা থেকে আসতেন এবং আমরা তাদের আপ্যায়ন করতাম এবং তারা আমার চাচার সঙ্গে জ্ঞানচর্চার আসর জমাত।
[ভিশন/দিব্যদর্শনের ধারাবাহিক বিবরণ] আমি ঘুম এবং জাগরণের মধ্যে ছিলাম, এবং আমি দেখলাম পুরো বিশ্ব অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং এই বিশাল গম্বুজটি আছে আর পিছনের অনেক রয়েছে এবং আমি তাদের সাথে দাঁড়িয়ে আছি। আমি এই বিশাল গম্বুজটি দেখেছি, [দিগন্তে] দিগন্ত পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং খুলে গেল। এবং আমি নিজেকে বললাম, “আমাকে এখানে থাকতে হবে কেন? শুনেছি রসুল (ﷺ) সেখানে আছেন।” এবং আমি হেঁটে এগিয়ে গেলাম এবং বাকি সবাই পিছনে ছিল; আর কাউকে চলার অনুমতি দেওয়া হয় নি। আমি সালাতের জন্য অপেক্ষমাণ লোকদের সারিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমি এগোলাম এবং তারা রসুল্লাহ (ﷺ) এর অপেক্ষায় ছিল। আমি কাছে এসে আমি লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে রইলাম, সরাসরি ইমাম যেখানে দাঁড়ান তার পিছনে। আমি একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, “নবি করিম (ﷺ) এখন আসছেন না, তিনি দ্বিতীয় তলায় আছেন এবং তিনি সেখান থেকে নামাযের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।” আমি বললাম, “আমাকে কেন নীচ তলায় থাকতে হবে, আমি দ্বিতীয় তলায় যাব।” আমি দ্বিতীয় তলায় গেলাম এবং আমি রসুলুল্লাহ (ﷺ) কে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে কথা বলতে দেখলাম। আমি ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু এগিয়ে গেলাম। সেখানে এক সারি লোক ছিল এবং তিনি (ﷺ) লোকদের সেই লাইনে কথা বলছিলেন; এরা মুসলমানদের মূল ব্যক্তিবর্গ, আপনি তাদের কী বলবেন? মুসলমানদের মধ্য থেকে যারা সবচেয়ে সম্মানিত, এবং রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পরে তার কথা ও আদর্শকে বহন করেছিলেন ও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এরা ছিলেন তারা। আমি তাদের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু আমি শুনছিলাম এবং শুনছি বলে আমি অনুভব করছিলাম, আমি একটি কণ্ঠস্বর শুনলাম:
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ
ইন্নাল্লা-হা ইয়ুদা-ফিউ আনিল্লাযি-না আ-মানু- ইন্নাল্লা-হা লা- ইউহিব্বু কুল্লা খাও্ওয়া-নিন্ কাফুর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ ইমানদারদের (মন্দ অকল্যাণ থেকে) রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন না যে বিশ্বাসঘাতক বা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
যারা ইমানদার তাদেরকে আল্লাহ রক্ষা করেন। আমি তাকিয়ে ছিলাম এবং নবি ﷺ আমাকে রক্ষা করছিলেন! আশ্চর্যের বিষয়টি হলো আমি নবি করিম (ﷺ) কে দেখছিলাম এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাওলানা শেখ নাজিমের মত চেহারায় দেখাছিলাম, আর পরমুহূর্তেই আমি তার স্থলে নবি করিম (ﷺ) কে দেখলাম। এবং আবারও আমি মাওলানা শেখ নাজিমকে দেখতে পেলাম , এবং তাদের উভয়ই আমাকে রক্ষা করছিলেন এবং কথা বলছিলেন। তারা কী বলছেন তা আমি জানতে বা বুঝতে সক্ষম হই নি, তবে আমি জানি তারা আল্লাহর আদেশে আমাকে রক্ষা করছেন।
ইয়া সায়্যিদি, ইয়া রসুলুল্লাহ (ﷺ), এটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট ছিল! যে কেউ কিছু বলতে চায়, তাদের বলতে দিন: আমার হীরা আমি পেয়েছি, আমার নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মাওলানা শেখের পদক! এটি আমার এবং আপনার সকলের পক্ষে যথেষ্ট! এটি একটি স্বপ্ন ছিল এবং এর অনেক অর্থ রয়েছে তবে আমরা অর্থের মধ্যে যাব না। তবে এটিই মূল বিষয়: যখন আপনি সত্যই ... তারা আপনাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, নবি করিম (ﷺ) আপনার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন এবং তারা জানেন যে আপনি নিপীড়িত, মজলুম এবং তারা আপনাকে সমর্থন জোগান! যখন আপনি গ্র্যান্ডশেখ এবং মাওলানা শেখকে আপনার জীবনের ষাট বছর, ইসলামের জন্য দাওয়াতের জন্য ষাট বছর কাজ করেছেন, তখন তারা আপনাকে ছেড়ে যান নি!
কপিরাইট 2024 sufilive.com
https://sufilive.com/The-Secret-of-the-Naqshbandi-Tariqah-is-in-the-Hands-of-Shah-Mardan--5658.html